জর্দা পোলাও তৈরির করার সহজ জর্দা রেসিপি

জর্দা পোলাও তৈরির  করার খুব সহজ রেসিপি


জর্দা পোলাও তৈরির  করার খুব সহজ রেসিপি

জর্দা পোলাও খুবই জনপ্রিয় ও উন্নত মানের খাবার। যা আমরা সাধারণত বিয়ে বাড়িতে রান্না করতে দেখি।এটা খুবই মজাদার খাবার। অনেকেই তা রান্না করতে জানেনা। মনে করে  খুবই কঠিন। কিন্তু বাস্তবে একদম উল্টো। জর্দা পোলাও এর রেসিপি তৈরি করা খুবই সহজ যে কেউ চাইলেই ঘরে বসে বানাতে পারে। আজকের জর্দা রেসিপি তাদের জন্য। চলুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করতে হবে। 

তৈরি করতে যেসব  যা যা লাগবে 

উপকরণ:

১/ পোলাউ চাল বা বাসমতী চাল/ দেশমতি চাল ২ কেজি 

 ২/  চিনি ১ কাপ 

৩/ ঘি ২ কাপ

 ৪/ জাফরান পরিমান মতো 

 ৫/ জর্দ্দা রং বা ফুট  কালার ১ চিমটি

 ৬/  পেস্তা বাদাম কুঁচি ৬  টেবিল চামচ

 ৭/ কিসমিস ৬/৭ টেবিল চামচ

 ৮/ দারুচিনি ২/৩ টি  

 ৯/ এলাচি ৬/৭ টি

 ১০/   খেজুর (  না থাকলে নাও দিতে পারেন)

 ১১/ গুড়া দুধ ৪  টেবিল চামচ

 ১২/ অল্প পরিমান লবন 

 ১৩/  পানি পরিমান মত

প্রস্তুতপ্রনালীঃ

প্রথমে একটি পাত্রে চাউল নিয়ে তা ভালো করে  ধুয়ে নিতে হবে।এর পর একটা পাত্র চুলায় দিয়ে তাতে পানি দিয়ে ভাল করে পানিটা গরম করে নিতে হবে। গরম হলে পানিতে ভিজানো চাল দিয়ে দিতে হবে।এর পর চাল ৮০% সিদ্ধ করে নিতে হবে এবং সামান্য লবন দিয়ে দিতে হিবে,  এবং সাথে  জাফরান দিতে হবে। এতে করে জাফরানের ঘ্রান ও রং সিদ্ব হবার সাথে বের হতে থাকবে।

তারপর সামান্য জর্দার রং  বা ফুট কালার দিয়ে দিন, এর মধ্যে চাল  সিদ্ব হবে এবং তার  রং হলে  তা  ঠান্ডা পানি দিয়ে চালটা ভালো করে  ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

তারপর একটি  পাত্র চুলায় বসিয়ে তাতে  পরিমান মতো  ঘি  দিয়ে তা গরম করে নিতে হবে এবং একে একে  দারুচিনি, এলাচি দিয়ে ভাল করে ভেঁজে নিতে হবে।

এবার ঘি তে পানি ঝড়িয়ে রাখা চাল দিয়ে দিতে হবে  এবং ভালো করে  ভাঁজতে হবে।

এই সময় চুলার আচ মাজারি করতে হবে।পারলে  পাত্রের তলায় তাওয়া দিতে পারেন। এতে  করে আগুনের আঁচ কম লাগবে। তাওয়া দিয়ে ভাল করে  ভাঁজতে  থাকুন।

এর পর এর মধ্যে কিসমিস দিয়ে দিন।তারপর এতে চিনি দিয়ে নাড়াতে থাকুন।

এবার মিল্ক পাউডার চালের উপর ছড়িয়ে দিন। ভালো করে মিশাতে থাকুন এবং নাড়ুন।এর পর পরিমান মতো  পানি দিয়ে ঢেকে  দিন।

কিছু বাদাম কুঁচি দিন, সাথে খেজুর কুঁচি দিয়ে দিন।এবার চাল দেখে নিবেন, চালটা নরম ও ঝরঝরে হয়েছে কিনা? ঝরঝর হয়ে গেলে আস্তে আস্তে নাড়াচাড়া দিন।এরপর বেশি নরম নয় আবার যেন শক্তও না থাকে! যদি শক্ত লাগে তবে ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে আরো কিছুক্ষন রেখে দিন।

এবার পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত! কিছু বাদাম কুঁচি  উপরে ছিটিয়ে দিন।এই সময়ে আপনি যদি চান তাহলে  কিছু ছোট  মিষ্টি (যা মিষ্টি দোকানে পাওয়া যায়)তা  দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করে নিন।

টিপস

খেজুর না থাকলে, বাজারে  পাওয়া মোরব্বা দিয়ে দিতে পারবেন।

 ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url