পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার উপায়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুখবর।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম: ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই খুশির একটি খবর যে, বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্লাটফর্ম বিকাশ পেওনিয়ার থেকে টাকা উইথড্র করার সার্ভিস যুক্ত করেছে। যার ফলে আপনার payoneer একাউন্ট থেকে ইনস্ট্যান্ট টাকা বিকাশে সরা সরি নিয়ে আসতে পারবেন খুব সহজেই।

Payoneer থেকে বিকাশে টাকা আনার উপায়।

বর্তমানের এইঅনলাইনের যোগে সবাই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ব্যাস্ত। অনলাইন এর টাকা তুলার জন্য আমরা পিওনিয়ার বা পেপাল ব্যবহার করি। এবং তার থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে হয়।দেখা যায় টাকা আসতে এবং হাতে পেতে ৪-৫ দিন লেগে যায়।কিন্তু বিকাশের এই নতুন উদ্যোগ আপনি ঘরে বসেই সাথে সাথে টাকা পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার উপায়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য  সুখবর।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার জন্য পিওনিয়ার ২% চার্জ হিসেবে কেটে নিবে। যা ব্যাংকে ট্রান্সফার করার জন্য ও প্রযোজ্য ছিল।  কিন্তু বিকাশ কোন টাকা চার্জ ধরে নাই। এটা খুবই ভাল একটি বিষয়। বরং বিকাশ আরো ২% ক্যাশব্যাক দিবে। তাই আজকের আর্টিক্যালে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আরো পড়ুনঃ বিকাশে নিয়ে নিন ৫০০ টাকা বোনাস অফার 

পেওনিয়ার কি?

পেওনিয়ার হলো একটি অনলাইন ভিত্তিক  আন্তর্জাতিক ওপেন ব্যাংক। যে কোন দেশ থেকে এই ব্যাংকের একাউন্ট খুলে লেনদেন করা  যাবে খুব সহজেই ।বর্তমানে ২০০ টিরও বেশি দেশ থেকে অনলাইনের যে কোন পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়।

বিকাশের মাধ্যমে পেওনিয়ার একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করুন

১. পেওনিয়ার একাউন্ট খােলার সময় বিকাশ অ্যাপে ঢুকে রেমিট্যান্সে গিয়ে পেওনিয়ারে ক্লিক করতে হবে।তখন গ্রাহককে একটি পেওনিয়ার পরিচালিত রেজিষ্ট্রেশন পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার উপায়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য  সুখবর।

২. পেওনিয়ার রেজিষ্ট্রেশনের সময় গ্রাহককে সঠিকভাবে সব তথ্য প্রদান করতে হবে। ভুল তথ্য প্রদানের কারণে যদি রেজিষ্ট্রেশন ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে বিকাশ দায়ী থাকবে না।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার উপায়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য  সুখবর।

৩. বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে রেজিষ্টার্ড পেওনিয়ার একাউন্ট সাথে সাথেই অ্যাক্টিভেট হবে না। এটি পেওনিয়ার কর্তৃক রিভিউ হতে ৩ কর্মদিবস সময় লাগবে। রেজিষ্ট্রেশন ব্যথা কিংবা দেরি হলে গ্রাহককে পেওনিয়ার-এর সাথে যােগাযােগ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ই-সিম কী? কীভাবে কাজ করে এবং এর সুবিধা-অসুবিধা

পেওনিয়ার এবং বিকাশ একাউন্ট লিংক:

১. বিকাশ একাউন্টের সাথে পেওনিয়ার একাউন্ট লিংকের সময় গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপ থেকে একটি পেওনিয়ার পরিচালিত পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে।

২. পেওনিয়ার ও বিকাশ একাউন্ট সফলভাবে লিংক করতে, গ্রাহকের পেওনিয়ার একাউন্টে রেজিষ্টার্ড নাম এবং তার বিকাশ একাউন্টের নাম অবশ্যই এক হবে।

৩. একাউন্ট লিংকিং-এর সময় কিংবা ফান্ড ট্রান্সফারের সময় গ্রাহকের পেওনিয়ার রেজিষ্টার্ড মােবাইলে আসা ওটিপি বা ভেরিফিকেশন কোড় কখনােই কারাে সাথে শেয়ার করা যাবে না।

৪. ভুল ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড কিংবা ওটিপি/ ভেরিফিকেশন কোডের কারণে যদি একাউন্ট লিংকিং কিংবা ফান্ড ট্রীফার ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায়ভার বিকাশ নিবে না।

৫. লিংকিং-এর জন্য বিকাশ পেওনিয়ার-এর সাথে কোনাে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে না।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার উপায়:

১. বিকাশ একাউন্টে পিওনিয়ারের লিংক যুক্ত করার পর পেওনিয়ার একাউন্টে কত ডলার আছে তা নিচে দেখাবে। 

২. তারপর আপনার যত ডলার ইচ্ছা উইথড্র দিবেন তা লিখতে হবে।

৩. সর্বনিম্ন ১২ ডলার বা ১ হাজার টাকা উইথড্র দিতে পারবেন। সর্বোচ্চ কোন লিমিটেশন নেই।

৪. তারপর পরবর্তী স্টেপে যাবেন। ফোনে কোড আসলে তা দিয়ে নেক্সটে যাবেন। 

৫. তারপর উইথড্র Successful দেখাবে। এবং ১ মিনিটের মধ্যেই টাকা বিকাশে যুক্ত হয়ে যাবে।

নিচে বিকাশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

টাকা ট্রান্সফার এবং সার্ভিস চার্জ:

১. গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে যে তার পেওনিয়ার একাউন্টটি সচল রয়েছে এবং একাউন্টটির ট্রানজেকশনের অনুমােদন রয়েছে। পেওনিয়ার একাউন্টের স্ট্যাটাসের কারণে কোনাে ট্রানজেকশন ব্যর্থ হলে তার দায়ভার বিকাশ নিবে না।

২. পেওনিয়ার থেকে বিকাশ একাউন্ট ফান্ড ট্রাফারের সময় গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপ থেকে একটি পেওনিয়ার পরিচালিত পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে।

৩, পেওনিয়ার থেকে বিকাশ একাউন্ট ফান্ড ট্রাফারের সময় যদি ওটিপি/ ভেরিফিকেশন কোড না আসে, সেক্ষেত্রে গ্রাহককে পেওনিয়ার-এর কাস্টমার সার্ভিসের সাথে যােগাযােগ করতে হবে।

৪. পেওনিয়ার-এর কোনাে নিয়মাবলির ভুল বা অসম্মতি-জনিত কারণে যদি পেওনিয়ার ফান্ড ট্রান্সফারের আবেদন বাতিল করে দেয় তাহলে তার জন্য বিকাশ দায়ী থাকবে না।
৫. পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশ একাউন্টে একজন গ্রাহক সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

৬. বিকাশ একাউন্টে ফান্ড ট্রাফারের সময় পেওনিয়ার গ্রাহকের পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে সার্ভিস চার্জ (ফান্ড ট্রান্সফার ফি) কেটে রাখবে। পেওনিয়ার-এর পলিসি অনুযায়ী সময়ভেদে সার্ভিস চার্জ ভিন্ন হতে পারে। পেওনিয়ার-এর আরােপিত সার্ভিস চার্জ সংক্রান্ত ব্যাপারে বিকাশ কোনােরূপ দায়বদ্ধ নয়। সার্ভিস চার্জ বিষয়ক যেকোনাে জিজ্ঞাসা বা তথ্যের জন্য পেওনিয়ার কাষ্টমার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

৭. ফান্ড ট্রান্সফার সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হওয়ার পর, অ্যাপ নােটিফিকেশন এবং/ অথবা এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে একটি ফাইনাল স্ট্যাটাস শেয়ার করা হবে। যেক্ষেত্রে পার্টনারের (উদাহরণস্বরূপ: পেওনিয়ার) দ্বারা ট্রানজেকশন ডিটেইলস ভেরিফাইড হতে হবে, সেক্ষেত্রে পেওনিয়ার ২৪ ঘণ্টার মাঝে সাড়া দিবে, এবং সর্বোচ্চ ৫ কর্মদিবসের মাঝে ট্রাফার নিশ্চিত করবে।

৮. পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশ একাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফারের ড্রেত্রে পেওনিয়ার-এর পাড় থেকে কোনাে প্রকার বিলম্ব ঘটলে বিকাশ এর জন্য দায়ী নয়।

৯. প্রসেসিংয়ের জন্য একবার ট্রাফার রিকোয়েষ্ট করা হলে, তা আর বাতিল কিংবা ফেরতযােগ্য নয়।

১০. যেকোনাে ধরনের সিস্টম ক্রুটি, অতিরিক্ত অর্থপ্রদান কিংবা অন্য কোনাে যুক্তিসঙ্গত কারণে বিকাশ কর্তৃপক্ষ যেকোনাে বিকাশ একাউন্টের যেকোনাে ট্রানজেকশন বাতিল, রিভার্স বা সংশােধন করার বা যেকোনাে বিকাশ একাউন্ট ডেবিট করার অধিকার সংরক্ষণ করে। এই ব্যাপারে, গ্রাহককে যথাযথভাবে অবহিত করা হবে।

আরো পড়ুনঃ প্রোগ্রামিং ভাষা কি ? ১০ টি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা যা আপনাকে চাকরি পেতে সাহায্য করবে। 

অন্যান্য তথ্য 

৪. শুধুমাত্র স্মল ভ্যালু সার্ভিস এক্সপাের্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের টাকা দেশে আনার ফ্রেত্রে একজন গ্রাহক পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

২. বিকাশ একাউন্টে নিবন্ধন, অন্য একাউন্ট সংযুক্ত করা কিংবা ফান্ড ট্রান্সফারের ড্রেত্রে কোনাে গ্রাহক যদি ব্যর্থ হন, তাহলে সেজন্য বিকাশ দায়ী নয়। যেকোনাে জিজ্ঞাসায় নিম্নোক্ত লিংকের মাধ্যমে পেওনিয়ার-এর সঙ্গে যােগাযােগ করা যাবে: https://payoneer.custhelp.com/app/ask/l_id/1/c/3750

৩. এই সার্ভিসের ফলে পেওনিয়ার রেজিষ্টার্ড মােবাইল নাম্বার এবং বিকাশ মােবাইল নাম্বার সংযুক্ত নয়- গ্রাহক এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে ৷

৪. বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কিত যেকোনাে ধরনের সমস্যায় 16247-এ কল করার মাধ্যমে অথবা livechat.bkash.com
ভিজিট করার মাধ্যমে কিংবা [email protected]- এই ঠিকানায় ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহক বিকাশ-এর কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের সঙ্গে যােগাযােগ করতে পারবেন ৷

৫. প্রয়ােজন সাপেক্ষে বিকাশ কর্তৃপক্ষ যেকোনাে সময়ে পেওনিয়ার একাউন্ট সার্ভিস সংক্রান্ত বিদ্যমান শর্তাবলি পরিবর্তন ও সংশােধন করতে পারে, এক্ষেত্রে পূর্বেই গ্রাহককে বিকাশ এ সম্পর্কিত কিছু জানাতে বাধ্য নয়।

গুগল নিউজে আমাদের ওয়েবসাইটের সকল তথ্য সবার আগে আপডেট পেতে পাঁচমিশালী সাইট ফলো করে রাখতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।

শেষ কথা

দ্রুত টাকা উত্তলনের জন্য বিকাশ বেস্ট হবে। তবে যদি আপনার ডলার বা টাকা বেশি হয় সেক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রান্সফার করলে ভাল হবে। কেননা বিকাশে টাকা আনার পর টাকা বের করতে ও টাকা  চার্জ কাটবে। কম হলে বিকাশ বেস্ট আর বেশি হলে ব্যাংক। ধন্যবাদ

তথ্যসুত্রঃ bkash.com

Next Post Previous Post
2 Comments
  • Arman Hossain
    Arman Hossain ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ এ ৩:৩৮ PM

    খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট

    • Admin
      Admin ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ এ ৪:৫৫ PM

      ধন্যবাদ

Add Comment
comment url