মহিলাদের ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার ১০ টি ইউনিক আইডিয়া। Business ideas for women

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার ১০টি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া।মেয়েদের ঘরে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া তথা মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার নতুন কিছু ইউনিক আইডিয়া সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বর্তমানে মেয়েরা ও চায় যে তারা ও কিছু ব্যবসা করে নিজের পরিবার কে সাহায্য করতে। কিন্তু পুরুষের মত বাহিরে গিয়ে ব্যবসা করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়না তাই অনেকে হতাশ হয়ে পরে।

মহিলাদের ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার ১০ টি ইউনিক আইডিয়া।

আবার অনেকেই জানতে চায় যে ঘরে বসে ব্যবসা করার কি কোন উপায় আছে? যাদের মনে এই রকম প্রশ্ন রয়েছে বা ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিক্যাল। তাই মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসা করার উপায় জানতে চাইলে বা কিভাবে ঘরে বসে ব্যবসা করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

মহিলাদের ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার আইডিয়া 

বর্তমানে করোনার জন্য বাহিরে চলাফেরা করা খুবই সমস্যা। এবং করোনার জন্য পরিবার এবং সংসার চলা খুবই কষ্ট হয়ে পরে। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি তারা বাহিরে কাজ করতে পারেনা খুবই সমস্যা দেখা দেয়  সেক্ষেত্রে যদি ঘরে বসে কিছু ব্যবসা করে পরিবারকে সাহায্য করা যায় তাহলে খুবই উপকার হবে সবার।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার উপায় ২০২৩

মেয়েদের ঘরে বসে ব্যবসা করার অনেক উপায় আছে। কিন্তু আমরা জানিনা কি ব্যবসা রয়েছে বা কিভবে করতে হয়। তাই আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই উপায় গুলো জানতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারলে মাস শেষে ভাল একটা আর্নিং করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে।

আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সেরা ১০ টি অ্যাপ ২০২৩ | Top 10 apps to make money.

তাই আজকের এই লেখার মাধ্যমে আমরা মহিলাদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তো চলুন জেনে নেই মেয়েদের ঘরে বসে ব্যবসা করার ১০ টি ইউনিক আইডিয়া।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার ১০ টি আইডিয়া

১. ঘরে তৈরি খাবারের ব্যবসা

খাবারের ব্যবসা মহিলাদের জন্য সব থেকে বেস্ট কেননা যারা ভাল রাধুনি ভাল রান্না করতে পারেন বা বিভিন্ন ধরনের আইটেম তৈরি করতে পারেন তাদের জন্য খাবারের ব্যবসা হতে পারে সব থেকে ভাল একটি মাধ্যম। কেননা বর্তমান সময়ে সব থেকে জনপ্রিয় একটি ব্যবসার আইডিয়া হল, ঘরে তৈরি করা খাবারের ব্যবসা। আপনার রান্নার হাত যদি ভাল হয় এবং বিভিন্ন ধরনের আইটেম তৈরিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি হতে পারে আপনার ভাগ্য পরিবর্তনের সব থেকে ভাল একটি মাধ্যম ।

বর্তমানে  হাতে তৈরি খাবারের চাহিদা অনেক এবং তা বিক্রি করার অনেকগুলো সহজ মাধ্যম রয়েছে অনলাইনে ।আপনি যদি ফেসবুক ইউজ করে থাকেন তাহলে আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার খাবারের পিক তুলে প্রমোট করতে পারেন  এছাড়া ও নিজের আইডিতে এবং গ্রুপের মাধ্যমে কোন রকম কমিশন ছাড়াই খাবার বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজেই । 

আরো পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলার নিয়ম ও স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা। 

এছাড়া, আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে আপনি অনলাইনে  অনেকগুলো ফুড ডেলিভারি অ্যাপ পাবেন এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার খাবার বিক্রি করতে পারবেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অ্যাপ হলো:

  • Foodpanda
  • Foodpeon
  • Cookups
  • Foodtong

ইত্যাদি এরকম আরও অনেক ফুড ডেলিভারি অ্যাপ অনলাইনে পেয়ে যাবেন । এসব ফুড ডেলিভারি অ্যাপে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার খাবারের ছবি তুলে অ্যাপে আপলোড দিতে হবে। তারপর অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহক আপনার খাবার পছন্দ হলে অর্ডার করবে। তারপর রাইডার বা ডেলিভারি ম্যান এসে আপনার খাবার নিয়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিবে। তারপন মাস শেষে আপনি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কোম্পানি থেকে যত গুল অর্ডার কমপ্লিট করবেন তার টাকা পেয়ে যাবেন।

২. ক্রাফ্টিং ব্যবসার আইডিয়া

ক্রাফ্টিং সবারই পছন্দ। নিত্য নতুন ক্রাফ্ট সবাই পছন্দ করবে। আমাদের দেশে এর জনপ্রিয়তা কম হলে ও অন্যান্য দেশে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।অন্যান্য দেশে এইসবের চাহিদা অনেক আর যারা ক্রাফ্টিং এর ব্যবসা করে তারা খুবই লাভবান হয়।ক্রাফ্টিং সাধারণত মানুষ  ঘর সাজানোর জন্য এবং প্রিয়জনদের উপহার হিসাবে এগুলো কিনে থাকে।

বেশ কিছু ক্রাফ্টিং ব্যবসার আইডিয়া:

ক্রাফ্টিং এর ব্যবসার অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে। আপনি যেটাতে পারদর্শী সেটা নিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

  • জামার মধ্যে রঙ দিয়ে সুন্দর ডিজাইন।
  • সেলাইয়ের সুন্দর ডিজাইন।
  • কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শোপিস ।
  • ফ্লোরাল জুয়েলারি
  • ছবি আঁকা ও ফ্রেম তৈরি ইত্যাদি।

ক্রাফ্টিং ব্যবসা শুরু করার পূর্বে যা করণীয়:

আপনি যা ইচ্ছা তা নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে লাভবান হতে পারবেন না। আপনাকে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি করতে হবে যা মানুষ ক্রয় করবে। অনলাইনে দেখতে পারেন কোন জিনিসের চাহিদা বেশি যে পণ্যে মানুষের চাহিদা বেশি সেসব পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ Small business ideas for teens 2023

মানুষের কোন জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বা  চাহিদা বেশি তা জানতে অনলাইনে বিভিন্ন ক্রাফ্ট সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজগুলোতে আপনি মানুষের জিজ্ঞাসা গুলো দেখতে পারেন এবং নিজে ও প্রশ্ন করতে পারেন। আপনার তৈরিকৃত পণ্যগুলোর ছবি আকর্ষণীয় ভাবে তুলতে হবে। পণ্যের গুনগতমান ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

৩. অনলাইনে কোর্স বিক্রি

বর্তমানে অনলাইনে কোর্সের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। কেননা করোনার মধ্যে আমরা সবাই অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। সব কিছু এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। তাই অনলাইনে কোর্স করিয়ে মাসে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বাংলাদেশের থেকে ও বিদেশে কোর্সের চাহিদা বেশি। করোনা ভাইরাসের পর থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন কোর্স এর চাহিদা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 যদিও অনেক আগে থেকেই অনলাইনে বিভিন্ন  কোর্স এর উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো কোর্স এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। সুতরাং, আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে নিশ্চিন্তে ব্যক্তিগতভাবে অনলাইনে কোর্স চালু করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইন কোর্স করাতে চান তাহলে তা দুই ভাবে করতে পারেন।

  1. প্রি-রেকর্ডেড ভিডিও
  2. লাইভ ক্লাস

আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সব থেকে বেশি সে বিষয়ে লাইভ ক্লাস বা আগে থেকেই ভিডিও বানিয়ে রাখতে পারেন। তবে অনলাইন ক্লাস বা কোর্সের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মানুষের কাছে পরিচিত হতে হবে এবং গ্রহণযোগ্যতা পেতে হবে। তাই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে হলে প্রাথমিক ভাবে আপনার প্রতিভা আপনার দক্ষতা মানুষের সামনে প্রকাশ করতে হবে।

 এইজন্য আপনি যে বিষয়ে দক্ষ বা যে বিষয়ে কোর্স করাতে চান, সেই বিষয়ের উপর অনলাইনে ফ্রি ক্লাস বা ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করতে পারেন। এতে করে মানুষ আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার কোর্স করতে তারা আগ্রহী হতে পারে।

৪. ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং হল বর্তমান সময়ের সব থেকে জনপ্রিয় একটি মুক্ত পেশা। ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন খুব সহজেই। এর জন্য আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কিছু বিষয়ে স্কিল থাকতে হবে বা শিখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু স্কিল হল:

  • প্রোগ্রামিং
  • ওয়েভ ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
  • এসইও
  • কনটেন্ট রাইটার
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  •  ভিডিও এডিটর ইত্যাদি

আপনি যদি ভাল করে স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারেন। আপনার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে  ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য অনলাইনে বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হলো:

  • fiverr.com
  • Upwork
  • freelancer.com
  • envato.com
  • guru.com
  • 99designs.com
  • peopleperhour.com
  • Toptal
  • Codementor
  • DesignCrowd

যেভাবে কাজ করবেনঃ উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মধ্যে বেশিরভাগ সাইট হল এমন কারো কিছু প্রয়োজন হলে তারা পোস্ট করে এবং আপনি যদি সেই বিষয়ে দক্ষ হলে সেখানে বিড করতে হবে অর্থাৎ, আপনি এই কাজটি কত টাকা ও কত কত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কমপ্লিট করে ডেলিভারি দিতে পারবেন, তা ওই পোস্টে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আবার এমন কিছু সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি আপনার কাজের গিগ বা পোষ্ট দিয়ে রাখবেন ।সেখানে সব কিছু উল্লেখ করতে হবে যে কত টাকায় আপনার কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। ক্লায়েন্টের যদি কোন কাজে প্রয়োজন হয় আপনার কাজ পছন্দ হয় আপনাকে মেসেজ করে কাজ অর্ডার করবে। 
আবার এমন ও কিছু সাইট রয়েছে  প্রতিযোগিতার মত ।

এখানে ক্লায়েন্ট কোন ডিজাইন দরকার হলে সেটা পোস্ট করবে এবং বিভিন্ন ডিজাইনার তাদের করা বেস্ট ডিজাইন সাবমিট করবে।  তারপর ক্লাইন্টের সব গুলো দেখে তার যেটা পছন্দ হয় সেটা নিয়ে নিবে এবং পেমেন্ট করে দিবে। এমন একটি সাইট হল 99designs

৫. কুটির শিল্প

কুটিরশিল্প বলতে ঘরে তৈরি যে শিল্প তাকেই কুটির শিল্প বলে। ঘরের মধ্যে বসে নিত্যনতুন জিনিস তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজেই।  কুটির শিল্পের চাহিদা অতীত থেকেই কেননা আগের দিনে মানুষ কুটিরশিল্প করে তাদের সংসার চালাতো। এখনো তার চাহিদা অনেক।  কুটির শিল্পের মূল ধারক এবং বাহক হল ঘরের নারীরা।তাই আপনি এই বিষয়ে পারদর্শী হলে ঘরে বসে এই লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন ।

৬. ব্লগিং

ব্লগিং বলতে এক কথায় আপনি আমাদের এই লেখাটি যে জায়গায় পড়ছেন সেটাই একটি ব্লগ। ব্লগ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

১।ব্যক্তিগত ব্লগ
২।কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ব্লগ

ব্যক্তিগত ব্লগগুলোতে আপনি নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর বা যে বিষয়ে আপনি দক্ষ সে বিষয়ে লেখা পাবলিশ করতে পারবেন। ব্লগিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা ও সম্ভব।  ব্লগে লেখা লেখির জন্য নির্দ্বিষ্ট কিছু বিষয় রয়েছে যেমন,শিক্ষা, জব, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, রেসিপি, লাইফ স্টাইল, খেলাধুলা ইত্যাদি।

কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান ব্লগগুলোতে  প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কাজ গুলোকে নিয়মিত আপডেট করা। এবং নতুন তথ্য গুলো আপডেট করে পাঠকে তা জানিয়ে দেওয়া।

ব্লগ থেকে আয় করার ৫টি সহজ উপায়:

ব্লগের মাধ্যমে আপনি ৫ ভাবে আয় করতে পারবেন।

১। গুগল এডসেন্স কিংবা অন্য কোনও বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে প্রকাশের মাধ্যমে। 

২। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।। অর্থাৎ বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের পণ্যের আপনার ওয়েব সাইটে প্রকাশ এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেউ ক্রয় করলে তার থেকে কিছু অংশ আপনাকে দেওয়া হবে।  

৩। কোন প্রোডাক্ট এর  রিভিউ বা  স্পন্সর পোস্ট লিখে টাকা আয় করতে পারেন।

৪। নিজের কোন পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনার নিজের যদি কোন পন্য থাকে তবে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাল এবং তার উপকারিতা লিখে পাঠক কে জানাতে পারেন। পাঠকের কাছে পণ্যটি পছন্দ হলে বা তার দরকার হলে সে  কিনে নিবে।

৫। ব্যাকলিংক বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট যখন পুরনো হবে তার অথরিটি বাড়বে তখন ব্যাকলিংক বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।

৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। যারা অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে তারা খুব ভাল করেই জানে যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করা যায় এবং মনে করছে ও । অ্যাফিলিয়েট বলতে কোন ই-কমার্স কোম্পানির পণ্য (যেমন, অ্যামাজন, আলিবাবা, বাংলাদেশে আছে দারাজ, বিডি শপ) বিক্রি করে দিলে সেই পন্য অনুযায়ী যে কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে সেটাই হল আফিলিয়েট মার্কেটিং।

কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেনঃ  এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সব থেকে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ বা  ওয়েবসাইট খোলা এবং সে ওয়েবসাইটে আপনি যে পণ্য বিক্রি করতে চান সে সম্পর্কে একটা আর্টিক্যাল লিখতে হবে যেখানে পন্যটির গুরুত্ব এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে । আর কনটেন্ট এর মাঝখানে  পণ্য ক্রয়ের সরাসরি লিংক দিতে হবে যেন কেউ লিংকে ঢুকে সরাসরি ক্রয় করতে পারে। 

৮. ফ্যাশন ডিজাইনিং

ফ্যাশন ডিজাইন হতে পারে আপনার আয়ের প্রধান উৎস। জামা কাপড়ের চাহিদা সবসময় থাকবে কেননা জামা কাপড় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে কাপড় তৈরি হচ্ছে গার্মেন্টস গুলোতে। মানুষের রুচির সাথে তাল মিলিয়ে তারা বিভিন্ন ডিজাইনের  পোশাক তৈরি করছে। বিভিন্ন ডিজাইনের চাহিদা পূরণ করে একমাত্র ফ্যাশন ডিজাইন।আপনি ঘরে বসেই এই কাজ করতে পারেন বা কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনার সকল কার্যক্রম চালু রাখতে পারেন।

আপনার যদি ফ্যাশন ডিজাইন জানেন এবং এই বিষয়ের উপর পূর্বের অভিজ্ঞতা বা শিক্ষা থাকে তাহলে আর কোন সমস্যাই নাই। আর যদি ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে না জানেন না পারেন তাহলে আপনি ইউটিউবে অথবা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করে প্রফেশনাল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন খুব সহজেই। ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

৯. বুটিক হাউজ

আগেই বলেছি পোশাকের চাহিদা সবসময় থাকবে কেননা এটা আমাদের মৌলিক অধিকার গুলোর একটি। আর বুটিক বা বুটিক হাউজ একটি সৃজনশীল পেশা।বুটিক বা আর বুটিক হাউসের মাধ্যমে আপনি এই সৃজনশীল  পেশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।ধরে নেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে বুটিক হাউজের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

প্রাথমিক ভাবে খরচ হলে ও এতে লাভ অনেক। তারপর এই গুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।  আপনি যদি বুটিক হাউজের কাজ না জেনে থাকেন তাহলে শিখে নিতে পারেন বা ট্রেনিং করতে পারেন।  বুটিক হাউজের উপর ট্রেনিং নেওয়ার জন্য বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বুটিক হাউজের ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান হল:

  • বিসিক
  • ঘরকন্যা
  • বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
  • প্রতিবেশী ট্রেনিং সেন্টার

১০. ইউটিউব

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার আরেকটি ভাল মাধ্যম হতে পারে ইউটিউব। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু ইউটিউব সম্পর্কে জানেনা বা দেখেনা এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভবই বটে। ইউটিউবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ হোক সেটা রান্না, পড়ানো,বা যে কোন কাজ আপনি ভাল পারেন তা দিয়েই শুরু করে দিতে পারেন।সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব এর নিয়ম বা  রিকোয়ারমেন্ট আপনাকে পূর্ণ করতে হবে আগে। আর সেটা হল এক বছরে ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ করতে হবে। তাহলে আপনি গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করতে পারবেন এবং তারপর এপ্রোভ হলে  আপনার আয় শুরু হয়ে যাবে।

গুগল নিউজে আমাদের ওয়েবসাইটের সকল তথ্য সবার আগে আপডেট পেতে পাঁচমিশালী সাইট ফলো করে রাখতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।

উপসংহার

ঘরে বসে অনলাইনে মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া অনেক রয়েছে। তারমধ্যে আপনাদের জন্য কিছু শেয়ার করলাম। আশা করি এই লেখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ ১০:২২ PM

    ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলা,, ধন্যবাূ

Add Comment
comment url