রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সেক্সে রসুনের উপকারিতা।

রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ রসুন নামটা শুনলেই মাথায় আসে যে এটা মসলা একটি অংশ। তরকারি সুস্বাদু করার জন্য অন্যান্য পেঁয়াজ, মরিচ এর সাথে রসুন ও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু খাবারের সময় যখন প্লেটে রসুন দেখি আমরা তে ফেলে দেই। অনেকেই তার গন্ধের কারণে ফেলে দিলে ও বেশিরভাগ মানুষ ফেলে দেওয়ার  মূল কারণ হল রসুনের গুনাগুন সম্পর্কে না জানা। 

রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সেক্সে রসুনের উপকারিতা।

বর্তমানে আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করলে ও আগেরকার মানুষ মসলা ছাড়াও বিভিন্ন ঔষধ বা চিকিৎসার কাজে ও ব্যবহার করতো। রসুনে অনেক পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের কাজে দেয়। 

রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

রসুনের মধ্যে রয়েছে উচ্চ সালফারযুক্ত রাসায়নিক উপাদান যা শরীরের অ্যান্টিবায়োটিক এর কাজ করে ফলে শরীরের মধ্যে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করে দিয়ে পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।এই রসুন সাধারণ সর্দি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে  এবং অবরুদ্ধ ধমনীগুলি পরিষ্কার করে হৃদরোগ প্রতিরোধে সহয়তা করে। রসুনে রয়েছে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে । তাই আজকে আমর রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো ।

রসুন কি ?

রসুন হল একধরনের সবজি যা রান্নায় মশলা হিসেবে এর ব্যবহার সকলের নিকট পরিচিত ।আবার এই রসুন বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ভেষজ ওষুধ হিসেবে ও  ব্যবহার করে থাকে। এ ছাড়া ও বিভিন্ন আচার ভর্তা ও মুখরোচক খাবার তৈরীতে রসুন ব্যবহার করা হয়। রসুনের  বৈজ্ঞানিক নাম ” অ্যালিয়াম স্যাটিভাম

★★গুগল নিউজে পাঁচমিশালী সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।alert-success

রসুনের উপকারিতাঃ

রসুনের উপকারিতা অনেক রয়েছে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

১।ঠান্ডা ও সর্দির ক্ষেত্রেঃ  যাদের স্থায়ীভাবে ঠান্ডা ও ফ্লুর সমস্যা আছে এবং সবসময় ঠান্ডা লেগেই থাকে তাদের জন্য রসুন বেস্ট উপকরণ হতে পারে। কেননা রসুন সহজেই তাদেরকে ঠান্ডা ও সর্দি থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রতিদিন কাঁচা রসুন খেতে পারেন বা রান্না করা রসুন খেতে পারেন। রসুনের সাথে ২-৩ টি লবঙ্গ ও খাবেন এতে উপকার আরো বেশি পাওয়া যাবে। আবার কয়েকটা রসুনের কোয়া চায়ের কাপে দিয়ে খেতে পারেন এঠা বেশ কার্যকর সর্দি বা ঠান্ডার জন্য  এটা শূধু আপনাকে ঠান্ডা বা সর্দি থেকে নিরাময় করবে না পাশাপাশি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে ।

২।হার্টের সমস্যার সমাধানঃ রসুনের মধ্যে অ্যালিসিনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে প্রতিদিন রসুন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করবে। ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ এবং রক্তের অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও রসুন বেশ উপকারী।  তবে এটি মনে রাখা উচিৎ যে রসুনের পুরোপুরি উপকার পেতে কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত। কারণ রসুন পুরো রান্না হয়ে গেলে তার ঔষধি গুনাগুন কমতে থাকে তাই কাঁচা বা আধা-রান্না করা অবস্থায় খেলে সব থেকে বেশি উপকার হবে ।

★আরো পড়ুনঃ কিটো ডায়েট কি? কিটো ডায়েট কিভাবে করবেন। ডা জাহাঙ্গীর কবির কিটো ডায়েট চার্ট

৩।ব্যাকটেরিয়া ধংস করেঃ রসুন শরীরে থাকা অপকারী ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক এইগুলো ধ্বংস করে। রসুন অনেক আগে থেকেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো, বলা হয় প্রায় 7,000 বছর ধরে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং পরজীবী সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে যুগ যুগ ধরে রসুন ব্যবহৃত হচ্ছে।

৪।ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন বেশ উপকারী। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি প্রতিদিন যদি  রসুন সেবন করে তাহলে পেট এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানায়।কেননা এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেয় ।

৫। গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দূর করেঃ গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা নেই এমন মানুষ পাওয়া দূস্কর।সেই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিবে এই রসুন।প্রতিদিন সকালে  রসুন খাবেন এবং পানি খাবেন বেশি করে তাহলে দ্রুত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাবেন।

৬।ত্বকে যত্নে রসুনঃ  রসুনের মধ্যে থাকা বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। রসুনেরমধ্যে থাকা বৈশিষ্ট্য  কোলাজেনের হ্রাসকে ধীর করে দেয় যা বৃদ্ধ বয়সে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায় এবং ত্বকের মসৃণতা ঠিক রাখে। তাছাড়াও রসুন ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণে আক্রান্ত থেকে বাঁচিয়ে রাখে এবং একজিমার মতো  ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।রসুন  দাদরোগের জন্য ও ভাল কাজ করে।

৭। চুলের যত্নে রসুনঃ  রসুন পেঁয়াজের মতোও চুলের খুব উপকারী। রসুন চুল পড়া বন্ধ করে।রসুন পিষে আপনার মাথার ত্বকে রসুনের নির্যাস মাখালে বা রসুন-তেল গরম করে ঠান্ডা হলে তা চুলে মালিশ করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। রসুন মাথার খুশকি দূর করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। 

৮ । যক্ষ্মা প্রতিরোধকঃ আপনার যদি যক্ষ্মার সমস্যা থাকে তাহলে রসুনের মাধ্যমে তা সেরে ফেলা সম্ভব। কেননা রসুনে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যে, যদি আপনার যক্ষ্মা,  টিবি বা এ জাতীয় কোন সমস্যা থাকে  তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে থাকলে যক্ষ্মা ও এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

 

৯। যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের উপকারিতাঃ প্রতিদিন নিয়মিত কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় । যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে। 

★আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কি? এবং কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম। 

রসুনের অপকারিতা

রসুনের উপকারিতার পাশাপাশি এর বেশ কিছু অপকারী দিক ও আছে।নিচে তা দেওয়া হলোঃ

১।যকৃতের ক্ষতিঃ মাত্রতিরিক্ত রসুন খেলে যকৃতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যকৃতের বিভিন্ন কাজ রয়েছে আমাদের শরীরের  রক্ত পরিশোধন, চর্বি ও প্রোটিন বিপাক, শরীর থেকে অ্যামোনিয়া অপসারণ ইত্যাদি কাজ করে থাকে । গবেষণায় জানা যায় যে, মাত্রাতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে রসুনে থাকা রাসায়নিক উপাদান ‘অ্যালিসিন’ যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

২।ডায়রিয়াঃ খালি পেটে রসুন খাবেন না কেননা খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে । কারণ রসুনে আছে সালফার উপাদান, খালি পেটে রসুন খেলে তা পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং এর জন্য অনেক সময়  ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা ও থাকে।  

৩।বমি ও বুক জ্বালাপোড়াঃ খালি পেটে রসুন খাওয়ার আরো সমস্যা হল বমি ও বুক জ্বালাপোড়া করা। কেননা   যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালি পেটে তাজা রসুন খেলে  বুক জ্বালাপোড়া, বমিভাব ও বমি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে 

৪।দুর্গন্ধ: রসুন সবাই খেতে পারেনা কারণ এতে একধরনের গন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত রসুন খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। আর এই দূর্গন্ধের প্রধান কারণ হল রসুনে থাকা উপাদান সালফার।

৫।রক্তপাত বাড়ায়: অতিরিক্ত রসুন সেবনে রক্তের ঘনত্ব কমে যায়।  তাই যারা ‘ওয়ারফারিন’ ‘অ্যাসপিরিন’ ইত্যাদি ‘ব্লাড থিনার’ এই ধরনের ওষুধ সেবন করেন তারা  অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ রসুন খাওয়াতে রক্ত অনেক পাতলা হয়ে যায় ফলে রক্তপাত শুরু হওয়ার সম্ভবনা থাকে। 

★আরো পড়ুনঃ কিসমিস কিভাবে খাবেন ও কিসমিস খাওয়ার উপকারীতা ২০২১

★★ তা ছাড়াও মানুষ  রসুন সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন করে থাকে বা জানতে চায়। নিচে কয়েকটি প্রশ্ন যুক্ত করা হলঃ

এক কোয়া রসুনের উপকারিতা কি?

অনেকে জানতে চায় ' এক কোয়া রসুনের উপকারিতা কি? '  রসুন গন্ধযুক্ত একটি মশলা তাই বেশি খেতে পারে না । প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেলে কি এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। 

তাদের জন্য বলতে চাই যে এক কোয়া রসুনে ও নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে । প্রতিদিন সকালে নিয়মিত  এক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে গ্যাস্টিক, উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে খুবই সহায়তা করে। 

তা ছাড়াও, এক কোয়া রসুনে উপরের বর্ণিত উপকারিতাগুলো পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সকালে অন্তত এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। আর যে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।

সেক্সে রসুনের উপকারিতাঃ

এই প্রশ্নটি বেশিরভাগ মানুষই জানতে চায়। সেক্সে রসুনের উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন সকালে যে যতটুকু  পারেন এক কোয়া বা দুই কোয়া রসুন খেলে আপনার হারিয়ে যাওয়া যৌবন ফিরে পেতে সাহায্য করবে এবং যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা অল্প বয়সে যৌবন হারিয়ে ফেলছেন তারা দুই কোয়া রসুন খাঁটি ঘি- এ ভেজে সাথে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন এবং খাওয়া শেষে হালকা গরম পানি বা দুধ খেতে পারেন এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তা ছাড়াও বিভিন্ন উপকার রয়েছে যেমনঃ

  •  শারীরিক মিলনে আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। 
  •  সেক্স পাওয়ার বৃদ্ধি করে ।
  •  ইরেকটাইল ডিসফাংশান দূর করে দেয়।
  •  পুরুষ ও মহিলা উভয়ের সেক্স ড্রাইভ বৃদ্ধি করে ।
  •  অকালে বীর্যপাত বা দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে।
  •  শুক্রানোর পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি করে।
  •  বীর্য ঘন হয়। 
  •  সেক্সে বা সহবাসে সময় দীর্ঘস্থায়ী করে ।
  •  বীর্যে কোন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা কোন জীবানু থাকলে তা  দূর করে।

কাঁচা রসুনের উপকারিতা কি?

কাঁচা রসুনের উপকারিতা রান্না করা রসুনের থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে। কেননা রান্নার ফলে বা  রসুন পোড়ানোর ফলে রসুনের গুনাগুন কমতে থাকে। তাই যারা কাঁচা রসুন খেতে পারেন তারা কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করবেন আর যারা না পারবেন তারা রান্না করা রসুনই খাবেন। 

ওজন কমাতে রসুনের উপকারিতা 

 শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে রসুন বেশ সাহায্য করে। কেননা রসুনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান একসাথে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে। তবে শুধু রসুন খেয়ে ওজন কমে যাবে বিষয়টা এমন নয়  যখন আপনি পরিমিত খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খালি পেটে রসুন খাবেন, তখন এই রসুন  আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।আপনার অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন করতে সহায়তা করবে।

রসুন খাওয়ার নিয়মঃ

রসুন সবাই খেতে পারেনা এর মূল কারণ এতে থাকা গন্ধের কারণে। তবে যারা খেতে পারেন তারা বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন তাদের তাদের জন্য রসুন খাওয়ার নিয়ম হলঃ সকালে এক কোয়া বা দুই কোয়া রসুন খাবেন খালি পেটে না হয় ভরা পেটে।  তবে খালি পেটে সমস্যা হলে খালি পেটে খাবেন না। তা ছাড়া রান্না করা রসুন খেতে পারেন। রসুন ভর্তা করে কেতে পারেন। মধু ও রসুন একসাথে খেতে পারেন। ঘি এর সাথে ভেজে খেতে পারেন। কাঁচা খেতে পারলে সব থেকে উপকার বেশি।

★★তাছাড়া ও আরো কিছু প্রশ্ন করা হয় যেমন, মধু ও রসুন এর উপকারিতা,আদা ও রসুনের উপকারিতা,সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম, এইসব কিছুর উপকারিতা উপরে উল্লেখিত উপকারিতা একই তাই আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। 

শেষ কথা 

রসুন আমাদের খাবারের মসলা হলে ও এর উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার রয়েছে। রসুন সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। তারপরও কারো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন এবং প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url